ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীতে এমন নজিরবিহীন ঘটনা আগে ঘটেনি: জায়েদ খান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১১৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী তফসিলের ১০ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচনের আপিল বোর্ড। জায়েদের বিরুদ্ধে নোট দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেছিলেন নিপুণ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন নিপুণ।

আপিল বোর্ডের রায়ের পর মোবাইল ফোনে জায়েদ খান বলেন, ‘আপিল বোর্ডের কোনো ভ্যালু নেই। তারা এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এটা আইনবহির্ভূত। পৃথিবীতে এমন নজিরবিহীন ঘটনা আগে ঘটেনি যে প্রজ্ঞাপনের পর মৃত আপিল বোর্ড রায় ঘোষণা করে। ’ মামলা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আপিল বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করব। আদালতে যাব। ’

গতকালের পূর্বনির্ধারিত আপিল বোর্ডের বৈঠকে যাবেন না, তা আগেই জানিয়েছিলেন জায়েদ। জায়েদ বলেছিলেন, ‘নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর থেকে আপিল বোর্ড মৃত। একটি মেয়াদোত্তীর্ণ সংস্থা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে, যার কোনো আইনগত ভিত্তিও নেই। ’

২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রথমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জায়েদ খানকে। নির্বাচনের দিনই গণমাধ্যমে জায়েদের বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেল, জায়েদ ভোট পেয়েছিলেন ১৭৬টি, নিপুণ পেয়েছিলেন ১৬৩টি। ২৬টি ভোট বাতিল বলে গণ্য করা হয়। নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ জানুয়ারি পুনরায় ভোট গণনা করা হয়। এতে নিপুণের ১৪টি এবং জায়েদের ১২টি ভোট অকার্যকর হয়। তাতেও জায়েদ খানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

এরপর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও নিপুণ থামেননি। জায়েদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনী তফসিলবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করে গেছেন। চুন্নুর বিরুদ্ধেও নির্বাচনী আচরণবিধি না মানার অভিযোগ আনেন। এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর আপিল বোর্ডকে নির্দেশ দেয়। গতকাল বিকেল ৫টায় শিল্পী সমিতির অফিসে জরুরি বৈঠক ডেকেছিল এই বোর্ড। সেখানেই প্রার্থিতা হারালেন জায়েদ খান ও চুন্নু এবং বিজয়ীর মালা পরলেন নিপুণ ও নাদির খান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পৃথিবীতে এমন নজিরবিহীন ঘটনা আগে ঘটেনি: জায়েদ খান

আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী তফসিলের ১০ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচনের আপিল বোর্ড। জায়েদের বিরুদ্ধে নোট দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেছিলেন নিপুণ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন নিপুণ।

আপিল বোর্ডের রায়ের পর মোবাইল ফোনে জায়েদ খান বলেন, ‘আপিল বোর্ডের কোনো ভ্যালু নেই। তারা এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এটা আইনবহির্ভূত। পৃথিবীতে এমন নজিরবিহীন ঘটনা আগে ঘটেনি যে প্রজ্ঞাপনের পর মৃত আপিল বোর্ড রায় ঘোষণা করে। ’ মামলা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আপিল বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করব। আদালতে যাব। ’

গতকালের পূর্বনির্ধারিত আপিল বোর্ডের বৈঠকে যাবেন না, তা আগেই জানিয়েছিলেন জায়েদ। জায়েদ বলেছিলেন, ‘নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর থেকে আপিল বোর্ড মৃত। একটি মেয়াদোত্তীর্ণ সংস্থা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে, যার কোনো আইনগত ভিত্তিও নেই। ’

২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রথমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জায়েদ খানকে। নির্বাচনের দিনই গণমাধ্যমে জায়েদের বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেল, জায়েদ ভোট পেয়েছিলেন ১৭৬টি, নিপুণ পেয়েছিলেন ১৬৩টি। ২৬টি ভোট বাতিল বলে গণ্য করা হয়। নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ জানুয়ারি পুনরায় ভোট গণনা করা হয়। এতে নিপুণের ১৪টি এবং জায়েদের ১২টি ভোট অকার্যকর হয়। তাতেও জায়েদ খানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

এরপর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও নিপুণ থামেননি। জায়েদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনী তফসিলবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করে গেছেন। চুন্নুর বিরুদ্ধেও নির্বাচনী আচরণবিধি না মানার অভিযোগ আনেন। এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর আপিল বোর্ডকে নির্দেশ দেয়। গতকাল বিকেল ৫টায় শিল্পী সমিতির অফিসে জরুরি বৈঠক ডেকেছিল এই বোর্ড। সেখানেই প্রার্থিতা হারালেন জায়েদ খান ও চুন্নু এবং বিজয়ীর মালা পরলেন নিপুণ ও নাদির খান।